শিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ও দক্ষ শিক্ষক। এ জন্যে প্রয়োজন শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ। অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে এ অঞ্চলে একটি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবী জোরালো হয়ে ঊঠে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষকবৃন্দের সমর্থনে সিলেট বিভাগের সচেতন নাগরিকবৃন্দও এগিয়ে আসেন। বহু আবেদন-নিবেদনে কোন ফল না হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনগুলো এ দাবীকে কেন্দ্র করে বহু কর্মসূচি পালন করে। এমতাবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সিলেট বিভাগের কৃতি সন্তান জনাব হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী (তৎকালীন স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ) মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সিলেটে একটি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন। এভাবে ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে বৃহত্তর সিলেট, ফরিদপুর ও পাবনা জেলায় একটি করে তিনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় স্থাপন ও উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকগণের প্রশিক্ষণ শীর্ষক প্রকল্প গৃহীত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২০০১ সালের মার্চ মাসে সিলেট শহরের পূর্ব শাহী ঈদগাহ্ এলাকায় অবস্থিত টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন পূর্বদিকে ৩ (তিন) একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন জনাব হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী (তৎকালীন মাননীয় স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ০২ জুলাই, ২০০৫ তারিখ পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজ উদ্বোধন করা হয় ২৩ জুলাই, ২০০৫ খ্রি (১০ শ্রাবণ, ১৪১২ বাংলা), শনিবার। সময়ের পরিক্রমায় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সিলেট অনেক এগিয়েছে। বর্তমানে ১ (এক) বছর মেয়াদী বিএড কোর্সের পাশাপাশি ৪ (চার) বছর মেয়াদী শিক্ষায় সম্মান কোর্স ও ১ (এক) বছর মেয়াদী এমএড কোর্স চালু রয়েছে। এখানে দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদী বিভিন্ন কোর্সও চলমান রয়েছে। শিক্ষকদের পেশাগত মান উন্নয়ন এবং আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষক তৈরিতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, সিলেট কাজ করে চলেছে।